পাসপোর্টের জন্য পুলিশ যাচাইকরণ বাতিল।- Elimination of Police Verification for Passports
পাসপোর্টের জন্য পুলিশের যাচাইকরণ প্রক্রিয়া বাতিল করেছে বাংলাদেশ সরকার যাতে প্রক্রিয়াটি সহজতর হয় এবং নাগরিকদের জন্য একটি আরও সুবিধাজনক পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা যায়। এই সিদ্ধান্তের ফলে আমলাতান্ত্রিক বিলম্ব দূর হবে এবং পাসপোর্ট আবেদন আরও দক্ষতার সাথে প্রক্রিয়াজাত হবে।
পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পর্কে সরকারি ঘোষণা (Government Announcement on Police verification for Passports)
১৮ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারি করা একটি সার্কুলার অনুসারে, এই গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত পরিবর্তন বাস্তবায়িত হয়েছে। সুরক্ষা পরিষেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী গোলাম তৌসিফ সার্কুলারটিতে স্বাক্ষর করেছেন। সরকার জনসেবা আধুনিকীকরণ এবং অপ্রয়োজনীয় আমলাতন্ত্র হ্রাস করার বৃহত্তর এজেন্ডার অংশ হিসাবে এই পদক্ষেপ নিচ্ছে।
নতুন পাসপোর্ট ইস্যু প্রক্রিয়া কীভাবে কাজ করে (How the New Passport Issuance Process Works)
পুলিশ ভেরিফিকেশন (police verification) বাদ দিয়ে পাসপোর্ট আবেদনগুলি এখন কেবল জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) তথ্যের অনলাইন যাচাইয়ের উপর নির্ভর করবে। ডিজিটালাইজেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা, গতি এবং দক্ষতা বৃদ্ধি করবে।
পাসপোর্ট ইস্যু ব্যবস্থায় মূল পরিবর্তন (Key Changes in Passport Issuance System):
- নতুন পাসপোর্ট আবেদনকারী (New Passport Applicants): নাগরিকদের জন্য আর পুলিশ ভেরিফিকেশনের (Police Verification ) প্রয়োজন হবে না। আবেদন প্রক্রিয়াকরণ তাদের এনআইডির ইলেকট্রনিক যাচাইয়ের উপর নির্ভর করবে।
- বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশী এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক (Bangladeshi Expatriates and Minors): পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারী প্রবাসী এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদেরও পুলিশ যাচাইকরণ (Police Verification ) থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। তাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ যাচাইয়ের জন্য ব্যবহার করা হবে।
- পাসপোর্ট পুনঃপ্রদান (Passport Reissue): যে আবেদনকারীরা তাদের নাম, পিতামাতার নাম, জন্ম তারিখ বা জন্মস্থান পরিবর্তনের কারণে পাসপোর্ট পুনঃপ্রদানের অনুরোধ করবেন তাদের পুলিশ যাচাইকরণের (Police Verification ) পরিবর্তে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র ক্রস-চেক করা হবে।
এই পদক্ষেপটি কেন তাৎপর্যপূর্ণ? (Why is this Step Significant?)
অনেক সময়, পাসপোর্ট আবেদনের পুলিশ যাচাইকরণের (Police Verification ) ফলে বিলম্ব এবং অপ্রয়োজনীয় ঝামেলা দেখা দেয়, যার ফলে বিলম্ব, অপ্রয়োজনীয় ঝামেলা এবং কখনও কখনও দুর্নীতি হয়। এই প্রয়োজনীয়তা অপসারণের মাধ্যমে, পাসপোর্ট পরিষেবাগুলি আরও সহজলভ্য এবং দক্ষ হয়ে উঠবে। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন পূর্বে পাসপোর্ট আবেদন পদ্ধতি থেকে পুলিশ যাচাইকরণ (Police Verification ) অপসারণের প্রস্তাব করেছিল, যা এই সংস্কারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই পরিবর্তনটি জনসেবা প্রদানের উন্নতি এবং প্রশাসনিক বোঝা কমাতে সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে।
নতুন পাসপোর্ট যাচাইকরণ প্রক্রিয়ার সুবিধা (Benefits of the New Passport Verification Process)
- দ্রুত প্রক্রিয়াকরণ (Faster Processing): পুলিশ যাচাইকরণ (Police Verification ) বাদ দেওয়া হয়েছে, যা পাসপোর্ট প্রদানের সময় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে।
- নাগরিকদের জন্য কম ঝামেলা (Less Hassle for Citizens): আর থানায় যাওয়া বা যাচাইয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না, যা নাগরিকদের আবেদন প্রক্রিয়াকে সহজ করে তুলবে।
- দুর্নীতির ঝুঁকি হ্রাস (Reduced Risk of Corruption): যেহেতু নতুন ব্যবস্থাটি মানুষের হস্তক্ষেপ কমিয়ে আনে, তাই অনৈতিক কার্যকলাপ ঘটার সম্ভাবনা কম।
- ডিজিটাল রূপান্তর (Digital Transformation): এই সংস্কার অধিকতর স্বচ্ছতা এবং দক্ষতা নিশ্চিত করতে সরকারি পরিষেবার ডিজিটালাইজেশনকে উৎসাহিত করে।
আমাদের নির্দেশিকাগুলিও পড়ুন:
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স( Police Clearance)
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট( Police Clearance Certificate)
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স স্ট্যাটাস চেক(Police Clearance Status Check)
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নবায়ন( Police Clearance Renewal)
উপসংহার (Conclusion)
বাংলাদেশে, পাসপোর্ট প্রদানের জন্য পুলিশ যাচাইকরণ (Police Verification ) বাতিল করা আরও দক্ষ শাসন এবং জনসেবা আধুনিকীকরণের দিকে একটি বড় পদক্ষেপ। সরকার জাতীয় পরিচয়পত্র এবং জন্ম সনদের অনলাইন যাচাইকরণে স্থানান্তরিত হয়ে নাগরিকদের জন্য ঝামেলামুক্ত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করছে। লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশী, বিশেষ করে বিদেশে বসবাসকারীরা, এই পদক্ষেপ থেকে উপকৃত হবেন, বিশেষ করে যারা পূর্বে পাসপোর্ট পেতে উল্লেখযোগ্য সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন।
পাসপোর্টের পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিল সংক্রান্ত সাধারণ জিজ্ঞাসা
পাসপোর্টের জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন কি সম্পূর্ণরূপে বাতিল করা হয়েছে?
হ্যাঁ, বাংলাদেশ সরকার পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন (Police Verification ) প্রক্রিয়া সম্পূর্ণরূপে বাতিল করেছে।
নতুন প্রক্রিয়ায় পাসপোর্ট আবেদনে কী কী প্রয়োজন হবে?
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তথ্যের অনলাইন যাচাই এর মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশী বা অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য কী বিশেষ নিয়ম আছে?
হ্যাঁ, বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশী ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদ যাচাই করে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
যদি কেউ নাম, পিতামাতার নাম বা জন্ম তারিখ পরিবর্তন করতে চায় তবে কি হবে?
এ ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশনের পরিবর্তে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ক্রস-চেক করা হবে।
এই পরিবর্তনের প্রধান সুবিধা কী?
- পাসপোর্ট প্রক্রিয়া দ্রুততর হবে।
- নাগরিকদের জন্য কম ঝামেলা হবে।
- দুর্নীতির ঝুঁকি হ্রাস পাবে।
- প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ ও আধুনিক হবে।
এই নতুন সিস্টেম কবে থেকে কার্যকর হয়েছে?
১৮ ফেব্রুয়ারি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সার্কুলারের মাধ্যমে এটি কার্যকর হয়েছে।
ডিজিটাল প্রক্রিয়া কিভাবে কাজ করে?
আবেদনকারীর এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধনের তথ্য অনলাইন পদ্ধতিতে যাচাই করা হয়, যা সময় ও শ্রম বাঁচায়।
কেন পুলিশ ভেরিফিকেশন ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে?
বিলম্ব ও দুর্নীতি প্রতিরোধ করার জন্য এবং জনগণকে আরও সহজ ও দ্রুত সেবা প্রদানের জন্য এটি বাতিল করা হয়েছে।